স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন-২ (GSlD-2) ডিপিপির আওতায় একটি মসজিদ উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়িত না হলেও ঠিকাদারের বিল ছাড় করার অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্য মসজিদের কাজ করে ওই বিল ছাড় করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।
ঘটনাটি ঘটেছে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা ফুলদহ পূর্বপাড়া জামে মসজিদে।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা ফুলদহ পূর্বপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়নের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার মুরাদ হাসান ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। ২০২৩ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তনুরাজ কনস্ট্রাকশনকে কাজ করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বিগত এক বছর আগে অর্থাৎ ঠিকাদারের চূড়ান্ত বিল গত বছরের ৬ মে পরিশোধ করা হয়।
কাগজ কলমে ওই মসজিদের কাজ হলেও বাস্তবে তার চিহ্নমাত্র নেই। ওই মসজিদে কোন রকম কাজ না করলেও সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করে প্রকৌশলী অফিস।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জানান, মসজিদ উন্নয়নে অর্থ যারা তুলে নিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
আব্দুল হালিম জানান, মসজিদ কাজের জন্য ৩ লাখ বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু এখানে কোনো ঠিকাদার কাজ করতে আসেন। পরে আমরা জানতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কাগজপত্র জালিয়াতি করে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। আমরা সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চাই এবং যারা এই অর্থ আত্মসাৎ করেছে তাদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন জানান, কাগজপত্র জালিয়াতি করে মসজিদ উন্নয়নের টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিচার ও টাকা উদ্ধার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, মসজিদের কাজ শেষ করে ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, একটি মসজিদ কমিটির অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ