হালদার ডিম সংগ্রহকারীদের আশা জাগাচ্ছে বজ্রবৃষ্টি

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
হালদার ডিম সংগ্রহকারীদের আশা জাগাচ্ছে বজ্রবৃষ্টি

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়লেও এখনো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি মা মাছ। গত কয়েকদিন আগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত এবং শুরু হতে যাওয়া পূর্ণিমার তিথি বা জো’তে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ডিম আহরণকারীরা।

২০-২৬ মে পর্যন্ত পূণিমার জো’তে বজ্রবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে তোড়ে সৃষ্ট পরিবেশে ডিম ছাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা। একই ধারণায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশের শত শত ডিম আহরণকারী। এদিকে নষ্ট হওয়া সিসি ক্যামেরা মেরামতসহ হালদা মনিটরিং কার্যক্রমের মাধ্যমে হালদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে নৌপুলিশ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন।

এদিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় হালদা সুরক্ষায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা কম বলে মনে করছেন প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর।

তিনি বলেন,গত কয়েক দিন আগে বজ্র ও হালদা বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পূর্ণিমার জো’র বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। তবে অমাবস্যার জো’তে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন তিনি।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি জোঁ চলে গেছে। আরও একটি জোঁ অর্থাৎ চতুর্থ জোঁ শুরু হবে। পানির গুণগতমান ও পরিবেশ ঠিক আছে, এখন বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের অপেক্ষা। পূর্ণিমার এ জো’তে না ছাড়লে অপেক্ষা করতে হবে জুন মাসের ৩-৮ তারিখের অমাবস্যা ও ২০-২৪ তারিখের পূর্ণিমার জোঁ পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মে প্রথম দফায় হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। প্রায় ১৬৬০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন ডিম আহরণকারীরা।  রাউজান ও হাটহাজারী অংশের ৩০০-৩৫০টি নৌকা ও বাঁশের ভেলা বসে জাল ফেলে কার্প জাতীয় মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেন ৫শতাধিক ডিম আহরণকারী।

বিআরইউ