চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশি চাচা হামজারুলকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩) মে বিকেল ৩ টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠের ঘাসের জমিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে জানায় শিশুটির পরিবার। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা না করে আলমডাঙ্গা থানায় পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে রাতে আলমডাঙ্গা থানায় শিশুটির পিতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দায়েরের পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত হামজারুলকে আটক করে নিয়ে আসে।
ধর্ষণের অভিযোগে আটক হামজারুল ইসলাম (১৮) উপজেলার ওসমানপুর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে। হামজারুল একসময় হেফজখানায় থেকে লেখাপড়া করত। সে এখন আর লেখাপড়া করে না। ঘটনার পরপরই হামজারুল পালিয়ে যায়। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ।
শিশুটির পিতা ফারুক শেখ জানায়, আমি গরিব মানুষ। পাখি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়েটি ছোট। সে ওসমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিবেশী জহুরুলের একটি মেয়ে আছে তার সাথে আমার মেয়ে খেলাধুলা করে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকালের আমার মেয়ের সাথে অভিযুক্ত হামজারুলের বোন খেলা করছিল। হামজারুল আমার মেয়েকে ডেকে বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার মেয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে সব খুলে বলে। আমরা তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ডাক্তাররা বলে এটা পুলিশ কেস। আপনারা আগে থানায় যান। পরে আমরা থানা এসে ওসি সাহেবের নিকট ঘটনা খুলে বলি।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
বিআরইউ