সোহেদ হোসেন (১৩)। একটি প্রাইভেট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। বাবা আজগার আলী করেন দিনমজুরের কাজ। তার বাড়ি জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা এলাকায়।
অভাবের মধ্যে কোন রকম সংসার চললেও একমাত্র ছেলেকে শিক্ষার আলো থেকে পিছিয়ে রাখেননি বাবা আজগার আলী। তবে বাড়ি থেকে স্কুল ৬ কিলোমিটার দূরত্বের। মাঝে মধ্যে ভ্যানে করে যেতে পারলেও অর্থ অভাবে প্রায় দিনই পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থী সোহেদকে। স্কুল যাতায়াতে একটি বাইসাইকেলই পাওয়াই ছিল সোহেদ হোসেনের স্বপ্ন।
তবে নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় তার স্বপ্ন পূরণ ছিল অনিশ্চিত। গত এক মাস পূর্বে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেলের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ‘গরিব ঘরের সন্তান, স্কুল যাতায়াতে অনেক কষ্ট’ উল্লেখ করে একটি বাইসাইকেলের আবেদন জানিয়ে মেসেজ করেছিলেন শিক্ষার্থী সোহেদ হোসেন।
সংসদ সদস্য এলাকায় আসার পর সরেজমিনে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর আবেদন সঠিক পাওয়ায় শুক্রবার রাতে সোহেদ হোসেন ও তার বাবা আজগার আলীর কাছে একটি নতুন বাইসাইকেল উপহার দেন।
বাইসাইকেল হাতে পাওয়ার পর কান্না জড়িত কণ্ঠে শিক্ষার্থী সোহেদ হোসেন বলেন, আমার মতো একজন গরিব পরিবারের সন্তানের মেসেজ এমপি স্যার দেখে পরবর্তীতে আমাকে নতুন বাইসাইকেল কিনে দিবেন আমি তা ভাবতেও পারিনি। লোকমুখে সাদ্দাম হোসেন পাভেল স্যারের উপকারের কথা অনেক শুনেছি, এবারে আমি নিজেই তার প্রমাণ পেলাম। আমি ওনার জন্য অনেক দোয়া করবো।
ইএইচ