চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ভেড়ামারা স্টেশনে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ভেড়ামারা স্টেশনে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা রেল স্টেশন থেকে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন রুট বদল করে নেয় এবং আগামী জুন মাস থেকে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন রুট বদল করার ঘোষণা দেওয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে ভেড়ামারা রেল স্টেশনে মানববন্ধন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভেড়ামারা উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও ভেড়ামারা ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ ও আসাদুজ্জামান আসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুসতানজিদ লোটাস, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, ভেড়ামারা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ,  জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, উপজেলা শিক্ষক হিতৈষী সংঘের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সাবেক রেল বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, জাসদ নেতা বাশির উদ্দিন বাচ্চু, ভেড়ামারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ফয়জুল হাসান রবি, নাজমুল আলম স্বপন।

বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পুনর্বহাল ও সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান অন্যথায় পুনরায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে।

জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি  অধ্যাপক ডাক্তার মোস্তানজিদ লোটাস বলেন,  অবিভক্ত বাংলায় বিশেষ করে পূর্ব বাংলা অংশে কলকাতা টু জগতি প্রথম রেলওয়ে সার্ভিস চালু হয়। এরপর কলকাতা টু ভেড়ামারার দামুকদিয়া ঘাট। তারপর রায়টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। দামুকদিয়া থেকে রেল ফেরিতে সাঁড়াঘাট হয়ে উত্তরাঞ্চল, এভাবে রেল সম্প্রসারিত হয়। একসময় ভেড়ামারা রেলওয়ে জংশন ছিল। কালের আবর্তে তা হারিয়ে গেছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ভেড়ামারা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে ঢাকা যাতায়াত শুরু করে। ফলে কুষ্টিয়ার মিরপুর, দৌলতপুর, ভেড়ামারা, মেহেরপুরের গাংনি, মেহেরপুর অঞ্চলের যাত্রীরা ভেড়ামারা রেলস্টেশন ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ, ক্যাপ্টেন মনসুর, যমুনা পূর্ব ও পশ্চিম, টাঙ্গাইল, জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কমলাপুর যাতায়াত করতো।

সদ্য সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি তুলে নিয়ে ট্রেনের রুট পরিবর্তন করায় এ অঞ্চলের যাত্রীরা এসব স্থানগুলোতে যাতায়াতের জন্য বিড়ম্বনায় পড়েছে।

ভেড়ামারা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, একটা এলাকা কতটুকু উন্নত তা নির্ভর করে সেই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু ভেড়ামারার ইতিহাস-ঐতিহ্য, রাজনীতি-অর্থনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক ট্রেনগুলো রুট পরিবর্তন করে চলে যাচ্ছে। গুরুত্ব হারিয়ে বঞ্চিত হচ্ছে ভেড়ামারা, দৌলতপুর, মিরপুর ও মেহেরপুরের গাংনি অঞ্চলে বসবাসকারী একটা বিশাল জনগোষ্ঠী।

ভেড়ামারা স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনো আমাদের কোন তথ্য প্রদান করে নাই। তবে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হবে।

ইএইচ