ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বরগুনায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বরগুনায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

বরগুনার পায়রা, বুড়িশ্বর নদীর বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্কে দিন কাটছে উপকূলবাসীর। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার ৫ স্পটের সাড়ে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানলে বিপদাপন্নতার মুখোমুখি হতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় উপকূলবাসীর। ঝড়, বন্যা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই দিশেহারা হয়ে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। অনেককেই আশ্রয় নিতে হয় সাইক্লোন শেল্টারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।

রোববার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এ সময় উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই ঝড় জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে উপকূলবাসী।

স্থানীয়রা জানান, পায়রা, বুড়িশ্বর নদীতে জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীতে চলে গেছে। বাঁধের মাত্র দু-তিন ফুট জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। দ্রুত মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধে ধস শুরু হবে। এতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। ছোটবেলা থেকে দুর্যোগ মোকাবেলা করে আসছি। বন্যা আসার আগেই আমাদেরকে ছুটতে হয় নিরাপদ স্থানে। আমরা চাই আমাদের বেড়িবাঁধগুলো টেকসইভাবে করা হোক।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বেড়িবাধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিবছর মেরামত করা হয়। স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য, ওই এলাকায় নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প প্লানিং কমিশনের কাছে আছে। প্রকল্পটি পাশ হলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।


ইএইচ