ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ভোলায় উপকূলীয় এলাকার অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ভোলায় উপকূলীয় এলাকার অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।

রোববার দুপুরের পর থেকে জেলার সর্ব দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ঢালচর, কুকরি-মুকরি, মাঝের চরসহ বিভিন্ন চরের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র গুলিতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

এছাড়াও এসব চরের ১০ হাজার গবাদিপশু রাখা হয়েছে মুজিব কিল্লায়।

এদিকে জোয়ারে তলিয়ে গেছে সাগর উপকূলের ঢালচরসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপচর, মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে নীচু এলাকা।

মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও চিলেকোঠাসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।  

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, জেলার ৩শ’ ৩৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে, এসব বাঁধ মোটামুটি সুরক্ষিত রয়েছে। কোথায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নেই। তারপরেও বিষয়টির মনিটরিং করা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ৮৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও আজ সকাল থেকেই কাজ শুরু করছে জেলা প্রশাসন এবং মেডিকেল টিম ও কন্ট্রোল রুম খোলাসহ সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, জেলার ৭ উপজেলায় ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৩ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে এবং সকল দপ্তর প্রস্তুত আছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিষয়ে সতর্ক করতে শনিবার সকাল থেকেই উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে অবস্থান করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড।

ইএইচ