ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ

দক্ষিণ আইচা (ভোলা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রোববার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিন থেকে চার ফুট বেড়েছে।

এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত চরফ্যাশনে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। এছাড়া দেখা দিয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক জটিলতা।

সরেজমিনে দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা বেশকিছু এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বেড়িবাঁধের বাইরের জোয়ারের পানিতে  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর তলিয়ে গেছে।

উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আমাদের এখানে রাস্তা ঘাটের অবস্থা একেবারে নাজুক। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

চরফ্যাশন দক্ষিণ আইচা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সাব জোনাল কাউসার আহম্মদ জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতি বেশি। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ছে। এসব কারণে পল্লীবিদ্যুতের আওতাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাতাসের গতি কমে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলী মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় রোববার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলায় ১৫৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং প্রায় ৩০০ এর ওদিক স্বেচ্ছাসেবী মোতায়ন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখাসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপকূলীয় মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।

ইএইচ