বরগুনার তালতলীতে অতিরিক্ত নির্বাচনি কার্যালয় ব্যবহার ও দেয়ালে পোস্টার লাগানোয় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের কর্মী কামাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।
শনিবার রাতে এ অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দার নির্বাচনি আচরণবিধি উপেক্ষা করে অতিরিক্ত নির্বাচনি কার্যালয়, দেয়ালে পোস্টার লাগানো এবং মাইক ব্যবহার করে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনি আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা তদারকিতে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পার কাছে ৭টি ইউনিয়নে ৭টি ও উপজেলা শহরে ১টিসহ মোট ৮টি নির্বাচনি কার্যালয়ের তালিকা দেয় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী। কিন্তু ওই তালিকার বাহিরে উপজেলার শহরের মাছ বাজারে অবস্থিত উপজেলা শ্রমিক লীগের কার্যালয় ব্যবহার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দার ঘোড়া প্রতীকের অতিরিক্ত নির্বাচনি কার্যালয় করেন। ওই কার্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার দেয়ালে লাগানোর কারণে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের কর্মী কামাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এসিল্যান্ড অমিত দত্ত।
তাৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের পক্ষে অর্থদণ্ডের টাকা দিয়ে কামালকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে অভিযানের গিয়ে ঘোড়া প্রতীকের অতিরিক্ত নির্বাচনি অফিস ও দেয়ালে পোস্টার লাগানোর অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনে সব প্রার্থীকে আইন মেনে চলতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইএইচ