বরিশালের বাকেরগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
রোববার উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দুপুর ১টা থেকে নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে অন্তত ৩-৪ ফুট পানিতে তুলাতলী, পান্ডব, কারখানা, পায়রা, বিষখালী, শ্রীমন্ত নদীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু কিছু পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো। এদিকে উপজেলার নদী তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শনিবার উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে।
উপজেলায় ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ শুরু করছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। উপজেলায় একটি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে এবং তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক কথায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইএইচ