ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কলাপাড়ার জনজীবন বিপর্যস্ত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কলাপাড়ার জনজীবন বিপর্যস্ত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি উঠে শত শত ঘর-বাড়ি ও পুকুর তলিয়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন উপজেলা প্রশাসন।

তবে, প্রশাসনের তৎপরতায় জনমানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বরের পরিবর্তে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৌর শহরের প্রধান সড়কসহ একাধিক জায়গায় বড় বড় গাছ পড়ে রয়েছে। যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তা দ্রুত সড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করছে।

এদিকে, রোববার দুপুর থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ খাবার পানির সংকটের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এদিকে, উপজেলার প্রতিটি মানুষের মাঝে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। পৌর শহরসহ প্রতিটি ইউনিয়নের বাজার ঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ১৯.৪ মিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে এ উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে উপজেলা প্রশাসনের কাজ চলমান রয়েছে। পরে সঠিকভাবে বলা যাবে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার রয়েছে বলে জানান তিনি।

ইএইচ