কিশোরগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত। সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না জেলা শহরের শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায়।
সোমবার ভোর থেকে বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস শুরু হয়ে এখন রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব। ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মাঝারি কিংবা ভারী বর্ষণ এমনই চলছিল। রাস্তায় যানবাহন কম দেখা গেছে। রাস্তায় রিকশার উপস্থিতিও অনেক কম। অনেককে ছাতা মাথায় ও ভিজে ভিজে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
অবশ্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করার সময় থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের কোথাও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে থেমে থেমে বর্ষণের কারণে সোমবার সকাল থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। উপায় না থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজে বের হন নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলও কম। ফলে মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ খাবার পানির সংকটের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অভজারভার আক্তার ফারুক জানান, সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় কিশোরগঞ্জে কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়নি।
ইএইচ