বরগুনার তালতলীত ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
বরগুনার তালতলীত ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

বরগুনার তালতলীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। এই পানিবন্দি মানুষ খাদ্য সংকট ভুগছে। টানা ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছ পুরো উপজলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ।

পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন সঞ্চালন লাইনের উপর ঘরবাড়ি ও গাছের ডালপালা উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে পানিবন্দি অন্যদিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার কারণ চরম দুর্ভোগ পড়ছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

রোববার দুপুর থেকে সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া জোয়ার ও টানা বর্ষণের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না কারো সঙ্গে।

পল্লী বিদ্যুৎ তালতলী কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে এ উপজেলায় ২৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছ। একাধিক ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ৬ শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎকর্মীরা এসব লাইন মেরামত ও খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছেন।

অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজলার ৭টি ইউনিয়নে টানা বর্ষণের কারণে ৫০ থেক ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। প্রায় বাড়িতে রান্না ঘর পরে গেছে। বসত ঘর তলিয়ে ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়েছে। হাঁস-মুরগি গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পরেছেন সাধারণ মানুষ।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনায়ারা তুমপা বলেন, এই উপজেলায় ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদুৎ সংযোগ নাই। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে এগুলা গতকাল ভোররাত থেকে আমি নিজে লোকজন নিয়ে সড়ক ও জনপথ সচল করতে কাজ করে করেছি। ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরাপুরি পাওয়া যায়নি। অসংখ্য বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা সব দিকে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, পনিবন্দি মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

ইএইচ