ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অন্তঃসত্ত্বা মীম আক্তার (১৮) স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ৩ দিন ধরে অবস্থান করছেন পৌর শহরের ষোলহাসিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাসভবনে।
অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে জান্নাতুন নাঈম রিফাতের বিরুদ্ধে।
গত দুই বছর আগে মীমকে বিয়ে করে রিফাত। মীম বাড়িতে উঠতে গেলে তাকে মারধর করে ঘরে তালা দিয়ে সকলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, গত তিন বছর আগে জান্নাতুন নাঈম রিফাতের সাথে পৌর শহরের জন্মেজয় গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের মেয়ে মীমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ১ বছর পর দুজনে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে।
নাঈমের পিতার পৌর শহরে তিন তলা বাসা থাকার পরও বিয়ের কয়েক দিন পর পৌর শহরের একটি বাসা ভাড়া করে দুজনে ওঠে। এরমধ্যে মীমের গর্ভে সন্তান আসে কিন্তু স্বামী আর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মিথ্যা আশ্বাসে সন্তানকে নষ্ট করে দেয়। এরপর আবারও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে মীম।
সম্প্রতি মীমের স্বামী নাঈম তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বাধ্য হয়ে মীম গত ৩ দিন আগে স্বামীর বাসায় আসলে তাকে গালাগাল ও মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে মীমের স্বামীসহ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাসায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
মীম আক্তার বলেন, আমি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর আগেও আমার ১টি সন্তানকে নষ্ট করছে। আমি অন্তঃসত্ত্বা জেনেও তারা আমাকে মারধর করেছে। ঘরে উঠতে দেয় নাই। আমি গণ্যমান্য সবার কাছে বিচার চাই। আমি স্ত্রীর অধিকার নিয়ে আমার সন্তানকে নিয়ে বাঁচতে চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান খান বলেন, এ বিষয়টি পারিবারিক বিষয়। তাদেরকে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।
ইএইচ