পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির জন্য রাজশাহীতে প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষাধিক পশু। এদিকে এসব পশু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। তবে পশু খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে কোরবানির হাটে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি।
এসব পশু মানুষের বাসাবাড়ি ছাড়াও খামারে লালন পালন করা হচ্ছে। কোরবানি পশু ব্যবসার সাথে জড়িতদের ধারণা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটি হাট। এখানে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার পশুর হাট বসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির হাট শুরু হতে আরও দেরি আছে। ঈদের ১০ থেকে ১৫ আগে জমে উঠবে কোরবনির হাট। তবে এই এখন হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে।
খামারিদের দাবি এবারও কোরবানির পশুর দাম চড়া হবে। কারণ উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে পশু পালনকারীদের লাভের পরিমাণ কমার শঙ্কা রয়েছে। তারপরেও কেউ তো আর লোকসান দিয়ে পশু বিক্রি করবে না। কোরবানির হাট এখনও শুরু হয়নি। এখন পশু কম দামে পাওয়া গেলেও কোরবানির আগে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী দামের আশা করছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আখতার হোসেন জানান, রাজশাহীতে বিগত বছরের তুলনায় এবারও পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যেহেতু উৎপাদন খরচ বেশি, এবার দামও কিছুটা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর খামারিরা। ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের মধ্যে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। সাপ্তাহিক হাট, পাড়া-মহল্লায় গরু ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। আবার কম দামের আশায় আগে থেকে অনেকেই পশুর বায়না করে রাখছেন।
ইএইচ