যশোরের অভয়নগর থানায় ‘পুলিশ হেফাজতে’ আফরোজা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পুলিশের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির প্রধান হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী। বাকি দুইজন হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ সার্কেল জাহিদুল ইসলাম এবং কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ হেফাজতে ওই নারীর মৃত্যু ঘটেনি। প্রাথমিক তদন্ত করে এটা জানতে পরেছি। তবে অফিসিয়ালি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন পুলিশ সুপার। ওই কমিটি তদন্ত করবে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের হাতে পৌঁছাবে।
তিনি বলেছেন, আফরোজা বেগম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার জলিল মোল্লার স্ত্রী। ওই নারী মাদক বিক্রেতা। তার নামে একাধিক মামলা আছে থানায়। থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ তিনজন গত শনিবার রাতে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার ওপর পুলিশ কোনো নির্যাতন করেনি। সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখান প্রেসার ছিল অতিউচ্চ। ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। পরে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর নাভিদ হোসেন নামে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে লাশের সুরতহাল করা হয়। পুলিশ সুরতহাল করলে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সুরতহাল করানো হয়েছে। সেখানে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ডাক্তাররা বলেছেন, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্তও করা হয়েছে। যাতে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানিয়েছেন, তার পরিবারের অনেক সদস্য চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। কিন্তু বিষয় সেটা নয়। পুলিশ হেফাজতে একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনের অভিযোগ গুরুতর। ফলে পুলিশ এটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত করবে। উপজেলা নির্বাচন শেষ হলে পুলিশ বিশেষ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট পেশ করবে।
বিআরইউ