কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আরশেদ মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চর-সাদীপুর গ্রামের রশিদ সর্দারের ছেলে মাসুম (৩৫), মজির উদ্দিন সরদারের ছেলে বাচ্চু (৩৬) ও আব্দুল কুদ্দুস ফরদারের ছেলে সজীব।
আরশেদ মন্ডল (৫৩) একই এলাকার একছেদ মন্ডল এর ছেলে। বর্তমানে আরশেদ মন্ডল মাসুমের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আরশেদ মন্ডল বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর আগে আরশেদ মন্ডলের ভাই ইদ্রিস আলীকে চোরাই মোবাইল কেনার অপরাধে কুষ্টিয়া (সিআইডি) পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, পরবর্তীতে মাসুম ইদ্রিসকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয়।
পরে মাসুমসহ আরও কয়েকজন একটি মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়া থেকে আসার পথে চর-সাদিপুর লালদহ মাঠের মধ্যে অ্যাক্সিডেন্ট করে পায়ে আঘাত (জখম) হয়। এখন ৪ বছর পর ও অ্যাক্সিডেন্টের ক্ষতিপূরন বাবদ আরশেদ মন্ডলের কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেন মাসুম ও তার লোকজন।
এ নিয়ে গেলো ৫ মে একটি চায়ের দোকানে প্রকাশ্য হত্যার হুমকিও দেয় মাসুম ও তার লোকজন। পরে আরশেদ মন্ডল নিজে বাদী হয়ে ঘটনা উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এর আগেও তারা ফিলিপনগর এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী মাহাবুব মাস্টারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদার দাবি করেন। তাদেরকে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ডিশের তার মেশিন কেটে নষ্ট করে দিয়েছে বলছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় ৩-৪ মাস যাবৎ কয়েক গ্রামের মানুষ ডিশলাইন থেকে বিচ্ছিন্ন। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোনো কাজ হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেন্টু বলেন, মাসুম খুব যখন্য একটি ছেলে, মাসুম ও তার সাথে থাকা লোকজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের কাছে অন্যায় ভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিলো কিন্তু সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান বাদশা ভাইয়ের কাছে গিয়ে সমঝোতা করে নেয়। আমি শুনেছি বর্তমানে সে অন্যায়ভাবে মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ