ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরের বোয়ালামারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

একই সাথে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩০২ ধারায় আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রাসেল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি আসামি রাসেল সিকদারের সম্পর্কে (পরিবারগত বা গুষ্টিগত) চাচাতো বোন হয়। শিশুটি তখন পাশের একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা একে অন্যের প্রতিবেশী। শিশুটির মায়ের বাড়ির পাশে রাস্তায় মুদি দোকান রয়েছে। দোকানে রাসেলের কিছু টাকা বাকি ছিল। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রাসেল শিশুটিকে বাড়ি থেকে পাওনা দেড়শো টাকা নিয়ে আসতে বলে। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল পাশের গোসলখানায় নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত পা বেধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে।

এদিকে, একই সময়ে শিশুটির পরিবার শিশুটিকে খোঁজাখুজি ও মসজিদে মাইকিং করতে থাকে এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাসেল তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়। পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসলখানার ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল নিজেই হত্যার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা পরেরদিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। এ রায়ের ফলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

ইএইচ