খাগড়াছড়ির বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর 

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর 

পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা কে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। 

সোমবার ( ১০ জুন) সকালের দিকে  পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে খাগড়াছড়ি  জেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। 

পশুর হাটের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট গুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা পুলিশর প্রতিটি সদস্যদের উপর  অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনের জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ও সরজোমিনে তদারকি করেন পুলিশ সুপার।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কোরবানি উপলক্ষে বেশকিছু কোরবানির পশুর হাট ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। এ সব হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা,  চুরি ছিনতাই, জাল টাকার ব্যবহার রোধ ও মলমল পার্টির ক্ষপার থেকে কারবারিদের রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কাজ করছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। পরিদর্শনকালে পশুর হাটের ইজারাদার, ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন তিনি।

পরিদর্শনকালে পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি ইজারাদার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই কোথাও কোন রকমের চাঁদা প্রদান করতে হচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। কোরবানির পশু হাটে পশু আনা -নেয়া বা বিক্রয়কালীন যে কোন প্রকার চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ সময় তিনি পশুহাটে স্থাপিত পুলিশের বুথে জাল টাকা সন্দেহ হলে জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিনে তা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) ইজারাদার, ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হাটে পশু বিক্রয়কৃত টাকা কেউ যদি পুলিশ পাহাড়ায় বাড়ি নিয়ে যেতে ইচ্ছা পোষন করেন, তাহলে জেলা পুলিশ আপনাকে নিরাপদে পুলিশ পাহাড়ায় আপনার বাড়ি অথবা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিবে। হাটের আইনশৃংখলা ও নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ।

প্রতিটি কোরবানীর পশুর হাটের নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি রয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম, জালনোট শনাক্তকরণ বুথ, সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে অবগত করতে বলেন তিনি।

এ সময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম,খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.তফিকুল আলম, সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।

আরএস