কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

আর মাত্র পাঁচ দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে বিক্রেতার ভিড় ততই বাড়ছে। এবার হাটে প্রচুর পশু উঠেছে কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।

কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গৃহস্থ পর্যায় থেকে শুরু করে খামারিরা লাভের আশায় বিভিন্ন জাতের পশু নিয়ে হাটে এসেছেন। এবার পশুর দামও অনেকটা চড়া।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবার জেলায় গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু মজুত আছে। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লক্ষ ১৬ হাজার। যা জেলার চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত্ত পশু অন্য জেলায় পাঠানো যাবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুরহাটে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারী প্রান্তিক কৃষকরা। প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় খামারিরা ও পালিত গবাদিপশু বিক্রি করে তাদের সংসারের উন্নয়ন করে। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে। ক্রেতারা বলছে গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছে গোখাদ্যের দামের কারণে দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।

হাটে একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষক জানান, গোখাদ্যেরে দাম তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কোরবানির পশুর দাম একটু চড়া যাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা কম ক্রয় করছে, পরবর্তী হাটে হয়ত বেশি কেনা-বেচা হবে।

যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার মনিরুজ্জামান জনি শেখ বলেন, ঈদে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য এক বছর ধরে লালন পালন করে খামারিরা। আমাদের হাটে দূর দূরান্ত থেকে গরু বিক্রি ও ক্রয় করতে আসে। হাটে এবার খামারি ও গৃহস্থদের পালিত পশু বেশি দেখা যায়। হাটে পশু বেশি উঠেছে, কিন্তু তুলনামূলক ক্রেতাও অনেক কম। আশা করছি সামনে হাটে আরও বেশি জমে উঠবে পশুহাট।

ইএইচ