পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ উদ্যাপন করতে দেশের বাড়িতে যাবেন।
এছাড়াও অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নিবেন না।
টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশের বন্দরে ট্রাক জট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাক জট রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাঁচামাল এগুলো আটকে থাকবে এবং উৎপাদন ব্যাহত হবে। একদিকে যেমন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অন্যদিকে সরকার এই পাঁচদিনে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদুল আযহা ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এসময় একটু বেশি ভিড় থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বিআরইউ