পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে যানজটের কারণ অনুসন্ধান করে তাৎক্ষণিক নিরসন করা হবে। সেই সাথে এবারও মহাসড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়েকের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়েকের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন।
এ সময় হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আমরা কারখানা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সাথে বসেছিলাম। শ্রমিকরা যেন আগে থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে নির্দিষ্টস্থান থেকে রওনা করেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এবারও কিন্তু সেই প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। যেহেতু কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেশ আগেই লেগেছে এবং পশু পরিবহনের যে বাহনগুলো সেগুলো কিন্তু আগে থেকেই চলাচল শুরু করেছে। এখনও চলছে এবং সারা বাংলাদেশে এই পশুর হাটগুলো বসে। অনেকগুলো হাট আছে যেগুলো আবার আমাদের মহাসড়কের পাশে আছে।
শাহাবুদ্দিন খান বলেন, মহাসড়কের কোথায় কোথায় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে যানজটের ক্ষেত্রে সেগুলো চিহ্নিত করেছি এবং প্রতিবারের ন্যায় এবারও কিন্তু আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ স্পেশালিস্ট ইউনিট সড়ক মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রস্তুত। এছাড়াও আমাদের জেলা পুলিশ রয়েছে, মেট্রোপলিটন রয়েছে অন্যান্য সংস্থাগুলো রয়েছে। সবাই মিলে আমরা এখন মাঠ পর্যায়ে আছি। প্রয়োজন বুঝে সেখানে স্পেশাল ব্যবস্থা নিয়েছি৷ নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছি। যা যা প্রয়োজন আমরা যেমন ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছি, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সাব কন্ট্রোল তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ঈদের পরেও ঢাকায় ফেরা মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ইএইচ