ঢাকার ধামরাইয়ে চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য টাকা জোগাড় করতে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার নবীননগর এলাকার র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর নবীনগর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪, সিপিস- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে বুধবার রাতে ঢাকার সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার ধামরাই এলাকার শান্ত মনি দাস ওরফে বিচ্ছু শান্ত (১৯), বিজয় মনি দাস (২০) ও শ্রীকান্ত কর্মকার (২০) এবং মানিকগঞ্জ জেলার বিশ্বনাথ মনি দাস ওরফে বিশু (২০)।
ভুক্তভোগী কালাম বিশ্বাস টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন ধুবুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। সে সাভারের ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতো বলে জানা যায়।
সংবাদ সস্মলনে র্যাব-৪, সিপিস-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ৮ জুন আসামি শান্ত বাইক কেনার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে অপর দুই আসামি বিশু ও বিজয়ের সাথে দেখা করে। অল্প টাকায় বাইক ক্রয় করা যাবে না বিধায় গ্রেপ্তার আসামিরা একটি অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করবে বলে পরিকল্পনা করে। অতঃপর পূর্বের পরিচিত অটোরিকশা চালক নিহত কালামকে টার্গেট করে এবং ভুক্তভোগীকে মাদক সেবন করিয়ে ও সুইচ গিয়ারের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করবে বলে ঠিক করে। গ্রেপ্তারকৃত শান্ত নিহত কালামকে রিজার্ভ ভাড়ার বিষয়ে জানায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে অটোরিকশাসহ তারা ধামরাই এলাকার একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা জানায়।
কোম্পানি কমান্ডার আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বাড়িগাঁও পশ্চিমপাড়া নির্জন জায়গায় অটোরিক্সা থামিয়ে পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী ভুক্তভোগীকে মাদক সেবন করায়। পরে সে অচেতন হয়ে পড়লে আসামি শান্তর সাথে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে গলায় ও বুকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মৃতদেহটি যেন কেউ দেখতে না পারে সেজন্য আসামি বিজয় খড় দিয়ে মৃতদেহ ঢেকে দেয় এবং আসামি বিশু নিহতের অটোরিকশাটি চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের অপর সহযোগী শ্রীকান্তের সহযোগে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি গোপন করে।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধারে র্যাব-৪ এর অভিযান চলমান রয়েছে। সেই সাথে গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সাভার বাজার ও ধামরাই এলাকার চুরি, ছিনতাই এবং মাদক সেবন করে থাকে বলেও জানান তিনি।
ইএইচ