এমপি আখতারুজ্জামান

‘রাজউকের ভূমি আর সাধারণ কৃষি জমির উৎসে কর এক হতে পারে না’

পূর্বাচল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
‘রাজউকের ভূমি আর সাধারণ কৃষি জমির উৎসে কর এক হতে পারে না’

সংসদ অধিবেশনে সরকার ও জনকল্যাণমুখী একের পর এক ধারাবাহিক বক্তব্য রেখে প্রশংসায় ভাসছেন গাজীপুর-৫ আসনের (স্বতন্ত্র) এমপি আখতারুজ্জামান।

সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে তিনি উৎসে কর নিয়ে বক্তব্যে তার নির্বাচনি এলাকার দুটি মৌজা পাড়াবর্থা ও বড়কাউ পূর্বাচল (রাজউকের) অংশকে তুলে ধরে বলেন, গতবছর এনবিআর এর রেজিস্ট্রেশন ফি সংশোধন করেছেন কিন্তু তা করতে গিয়ে ভুলবশত বাকি আরও ১৪৬ মৌজা একই রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করেছেন। কাজেই রাজউকের ভূমি আর সাধারণ কৃষি জমির উৎসে কর এক হতে পারেনা বলে এনবিআরের ভুল সংশোধনের দাবি জানান তিনি।

এমপির এমন বক্তব্যের পর বিষয়টি আমলে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন কর কার্যকর হচ্ছে।

এতে করে কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি হস্তান্তর উৎসে কর-সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হবে। বর্তমানে কাঠাপ্রতি উৎসে কর হবে ২০ হাজার টাকা।

রাজস্ব বোর্ড গত বছর অক্টোবরে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা-উপজেলার জমি পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করে নাল কাঠাপ্রতি উৎসে কর ন্যূনতম ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে জাতীয়ভাবে আইনটি সংশোধনের দাবি তুললে নভেম্বরে কিছু জায়গায় কর কমিয়ে করা হয় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ছিল কালীগঞ্জ উপজেলাও।

এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান আমার সংবাদকে জানান, জনগণ এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। দেখা গেছে জমি যে পরিমাণ টাকা বিক্রি হবে তার থেকে উৎসে করসহ অন্যান্য টাকার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে যে মানুষ আর জমি বেচাকেনায় আগ্রহ ছিল না। যার ফলে গত ৭-৮ মাস গাজীপুর সদর, কালিগঞ্জ, বাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকার জমি বেচাকেনা বন্ধ ছিল। এই বন্ধ থাকার কারণে একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে অন্যদিকে জমি বিক্রয় থেকে স্থানীয় সকারের জেলা, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের যে রেভিনিউ আসে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে এবং খুশি হয়ে এমন উদ্যোগের কারণে আমাকে সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। প্রস্তাবিত উৎসে কর আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা আমি আশা করছি ১ তারিখেই কার্যকর হবে এটা নিয়ে যেন আর কোনো তালবাহানা না হয়।

ইএইচ