পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রতিটি হাট জমে উঠেছে। দেশীয় গরুর সাথে সাথে ভারতীয়, ভুটান ও নেপালের গরুর সমাহার দেখা যায় হাটে। তবে বিদেশি গরুর তুলনায় দেশি গরু বেশি উঠেছে হাটগুলোতে। এছাড়াও মহিষ, ছাগল, ভেড়া অনেকটাই লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর সংখ্যা অনেকটা বেশি দেখা যায়। কিন্তু বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। বিক্রেতারা বলছেন, শেষের দিকে বেচাকেনা বেশি হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরুর হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। কেউ দাম হাঁকাচ্ছ আবার কেউ দর দাম বলে চলে যাচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা ও গরুর দাম ছাড়ছে না। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
গত বছরের মাঝারি সাইজের গরু এক থেকে এক লাখ বিশ হাজার আর এ বছর সেই গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় এ বছর কোরবানির গরুর চাহিদা এক থেকে শোয়া এক লাখের মতো। তবে যেভাবে গরু আসতে শুরু করেছে চাহিদার তুলনায় অনেকটা বেশি। তাই বিক্রেতাদের গরু বিক্রি নিয়ে হিমশিম খেতে হতে পারে।
এদিকে হাটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নদী ও সড়ক পথে কেউ গরু নিয়ে টানা হিঁচড়া করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, যেকোনো বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ