এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় অধিকসংখ্যক মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। যেহেতু যাত্রীবাহী বাসে যাতায়াত করবে তাই অনেকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কিছু বাস মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছেন। যাতে একটু গাড়ির ধীর গতি হচ্ছে। তবে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য পুলিশ সদস্যরা সড়কে থাকবেন। মানুষের সেবা দিতে পারলেই পুলিশের উৎসব হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন- আমরা হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেল পুলিশ, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে মাঠে কাজ করছে। কোথাও কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আমাদের টিম পৌঁছে যাচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পুরো সড়কজুড়ে পুলিশের সদস্যরা রয়েছে।
গরুর হাটের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পশুর হাটের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় আমাদের জানালে আমাদের টিম সাথে সাথে পৌঁছে যাবে। এই সময়ে কাগজপত্র যাচাই নামে কোন ট্রাককে মহাসড়কের উপর দাঁড় করানো যাবে না। সুবিধাজনক স্থানে দাঁড় করিয়ে চেক করতে হবে।
ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাবেন সেখানেও টুরিস্ট পুলিশ আছে। তারা যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুত আছে। কোনো ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ৯৯৯ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য মানুষকে সেবা দিয়ে উৎসব পালন করে। তাই আমাদের উৎসব হচ্ছে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পেরে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পুলিশে সর্বোচ্চ জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে কাজ করি। যে সকল পুলিশ সদস্য অপরাধের সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ট্রাকে যে সকল পুলিশ সদস্যরা থামিয়ে চাঁদা নিয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ