নবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন স্বামী ও ভাশুর

নবাবগঞ্জ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
নবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন স্বামী ও ভাশুর

ঢাকার নবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন স্বামী মনোরঞ্জন ও ভাশুর ভজন রায়। ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা নয়াহাটি এলাকার ভজন রায়কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযুক্ত আসামি মনোরঞ্জন রায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় আবদানী এলাকার পাটক্ষেত থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। মনোরঞ্জন চন্দ্রখোলা নয়াহাটি এলাকায় মৃত দুর্লভ রায়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মনোরঞ্জন রায়ের স্ত্রী নিপা রায় (২৫) কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাবার বাড়িতেই বেশি সময় থাকেন। ওই এলাকায় বসবাসের সুবাদে একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। পরকীয়া সম্পর্কের ঘটনা নিয়ে চন্দ্রখোলা এলাকায় একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাশুর ভজন রায় বাধা দিলে তাকে মারতে স্বামী মনোরঞ্জনকে নানা পরামর্শ দেন নিপা। স্ত্রীর কথায় মনোরঞ্জন ক্ষিপ্ত হয়ে তার আপন চাচাতো ভাই ভজন রায়কে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সোমবার রাতে মারা যায় ভজন।  

প্রতিবেশী ও পুলিশের ভাষ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যায় ভজন রায় তার চাচাতো ভাই মনোরঞ্জন রায়কে তার স্ত্রীর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ জানায়। এ সময় মনোরঞ্জন নিজ স্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলায় চাচাতো ভাই ভজনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে রাত ৯টায় মনোরঞ্জন তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভজন রায়ের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় ভজনের চিৎকারে প্রতিবেশী ও তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কত্যর্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভজনের স্ত্রী সবিতা রায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামি মনোরঞ্জনকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খুঁজতেছিল। বুধবার দুপুরে এলাকাবাসী বাড়ির কাছেই পাটক্ষেতে গোঙানির শব্দ পেয়ে কাছে গিয়ে মনোরঞ্জনের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে।

সংবাদ পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল করে। তবে শরীরে কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা মনোরঞ্জন বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হয়তো মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। মনোরঞ্জনের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যা মামলার আসামি হওয়ার অনুশোচনা থেকে বিষপানে আত্মহত্যা করতে পারে।

ইএইচ