জগন্নাথপুরে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
জগন্নাথপুরে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। বাড়ি-ঘরসহ তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ। লোকজন পড়েছেন দুর্ভোগে। গ্রামীণ ও নিম্নাঞ্চলের সড়ক ডুবে যাওয়ায়  উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। উপজেলা সদরসহ সকল ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পুরো উপজেলায় ১৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।

গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে পানি ক্রমশ বাড়ছে। জগন্নাথপুর উপজেলার শতাধিক গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে  গেছে  জগন্নাথপুর পৌরসভার জগন্নাথপুর কুমারখালি সড়ক, ডাইভারশন সেতু, জগন্নাথপুর-সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক, জগন্নাথপুর-হবিবপুর সড়ক, জগন্নাথপুর মাছ বাজারসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ স্থান। গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বানভাসি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

চিলাউরা হলদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুলজানান, বন্যার কারণে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সাথে আমাদের ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ইতেমধ্যে ২৫টির বেশি পরিবার চিলাউরা উচ্চ, পঞ্চগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম জানান, বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পুরো উপজেলায় ১৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মেডিকেল টিমও মাঠে কাজ করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

ইএইচ