কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজার জেলায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে বুধবার বেলা ১টার দিকে ধলাই নদীর পানি বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে মাতারকাপন গ্রামসহ লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
৭টি উপজেলার গ্রাম ও কিছু উপজেলার শহরে পানি প্রবেশ করেছে। দিন ও রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের লোকজন ঘর থেকে বের হতে সমস্যা হচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মাতারকাপন, বলিয়ারভাগ, সাবিয়া, শ্যামেরকোনাসহ বিভিন্ন গ্রামে বর্ষণের পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া মনু নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সকালে কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় বাজারের দোকানদারকে মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন।
ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, কমলগঞ্জ উপজেলা, বড়লেখা উপজেলা, জুড়ী উপজেলা, রাজনগর উপজেলা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল ৯টায় ধলাই নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে) পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের মনু নদী (চাঁদনীঘাট পয়েন্টে) বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম গণমাধ্যমকে জানান, জেলার উপজেলাগুলোতে মোট ৯৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে এগুলোতে ৫৭১ পরিবারে আশ্রয় নিয়েছে। ৫৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি মানুষজনকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইএইচ