কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সিলেট মহানগরসহ সব উপজেলা বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে বিভাগে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু উপজেলা নয়, নগরীর অবস্থাও নাজুক। অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি।
জেলাজুড়ে প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন মানুষ।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সিলেটে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলা সবকটি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৬৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, নগরে বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে। সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, আজ সকাল পর্যন্ত সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৬টি ইউনিয়নের এক হাজার ৫৪৮ গ্রাম, একটি পৌরসভা, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি এরই মধ্যে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়গুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগ ও ইউনিয়নগুলোতে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
ইএইচ