দাগনভূঞায় মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, যানজটে জনভোগান্তি

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম
দাগনভূঞায় মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, যানজটে জনভোগান্তি

দাগনভূঞার জিরো পয়েন্টসহ ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড চালু করা হয়েছে। এতে নিত্য যানজট সৃষ্টি হয়ে জণভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন)/সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার জিরো পয়েন্ট,বেকেরবাজার,সিলোনিয়া বাজারসহ আরো বেশকিছু সড়কে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড এর দেখা মিলেছে।

এসব সিএনজি স্ট্যান্ড এর কোনো বৈধতা না থাকলেও বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে চলছে এসব স্ট্যান্ড বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া রাস্তার উপরেই সিএনজিগুলো দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা নামা করানোয় রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে।এছাড়া পাশের ফুটপাতগুলো দখল করে বিভিন্ন দোকান বসানোয় ফুটপাত নেই বললেই চলে এতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ রাস্তা দিয়েই হাঁটতে দেখা গেছে।

ফুটপাতের দোকানগুলোও স্থানীয় কিছু নেতাদের টাকা দিয়ে বসানো হয়েছে বলে দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

এদিকে বিভিন্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে রয়েছে লাইনম্যান তাদেরকে ১০-২০ টাকা দিলে তারা যাত্রী উঠাতে ও নামাতে সহযোগিতা করে ও টাকা না দিলে রাস্তায় দাঁড়ালেই হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটায় বলে জানিয়েছে সিএনজি ড্রাইভাররা।

অন্যদিকে স্কুল কলেজগামী কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী,অফিসগামী লোকজনসহ অন্যান্য শ্রেণীপেশার যাত্রীরা রাস্তার উপর বিপজ্জনকভাবে সংকুচিত হওয়া রাস্তাই পার হচ্ছে আবার সিএনজিতেও উঠতে হচ্ছে।এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্যতো রয়েছেই।যারা ইচ্ছেমতো রিকশা চালাচ্ছে, যাত্রী উঠা নামা করাচ্ছে।

আদিল নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন,সিএনজিগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে ঝুঁকি নিয়েই আমরা এগুলোতে উঠছি সময়মতো বাস না থাকায়।

মামুন নামে এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন,আমরা লাইনম্যানদের টাকা দিলে তারা আমাদের যাত্রী নিতে সাহায্য করে। বৈধ অবৈধ জানি না।আর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেই যা প্রশাসনসহ অনেকেই নেয় শুনেছি ওই টাকাগুলো দিলে আমাদের সাথে পথে কেও ঝামেলা করেনা।

দাগনভূঞা বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, দাগনভূঞার বিভিন্ন পয়েন্টে জনদুর্ভোগ এখন চরম হয়েছে।রাস্তায় গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখায় ভোগান্তি অনেক বেড়েছে।দেখার কেউ নেই।

দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েশ রিপন জানান, এ বিষয়ে যদি উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা শক্ত অবস্থানে থাকে ও অভিযান পরিচালনা করে তাহলেই স্থায়ী  উচ্ছেদ সম্ভব  হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিবেদিতা চাকমা জানান , অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিআরইউ