গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবাস ফেরত যুবক মিজানুর রহমানকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলার ১০ দিন পরও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ ওই যুবকের পরিবার ও এলাকাবাসী।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় আসামিরা তাদের বাড়িতে এসে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। অন্যথায় বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরকেও তার মতো কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়।
শুক্রবার দুপুরে ওই যুবকের বাড়িতে গেলে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
মিজানুর রহমান শ্রীপুরের রাজাবাড়ী ইউনিয়নের জিওসী (বিন্দুবাড়ী উত্তরপাড়া) গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। সে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাসে (সৌদী) থেকে তিন মাস পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার রাত ১০টায় ওই গ্রামের জিওসী মোড়ের দোকান থেকে চা পান করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় আসামিরা মিজানকে মাথায়, পিঠে ও ঘাড়সহ শরীরের একাধিক স্থানে কুপিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে।
ঘটনার পরদিন মিজানের বাবা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে একই গ্রামের তিনজনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামিরা হলেন- একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে নূরুজ্জামান (৩০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে নূরুল ইসলাম (৫২) এবং আক্কাস আলীর ছেলে আজিজসহ (৩০) অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই সিএনজি চালক হাবিবুর রহমান জানান, একটি ভুল তথ্য পেয়ে মিজানের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রধান আসামি নূরুজ্জামান। এরপর থেকে মিজান দেশে আসলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে সে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত ১০ টায় ওই গ্রামের জিওসী মোড়ের দোকান থেকে চা পান করে বাড়ি ফিরছিলেন মিজান। ফেরার পথে বাড়ির আধা কিলো মিটার দূরে থাকা অবস্থায় আসামিরা মিজানের পথরোধ করে তার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়সহ শরীরের একাধিক স্থানে কুপিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। এ সময় ভিকটিমের চাচাতো ভাই গার্মেন্টস কর্মী শামীম অফিস ছুটি হলে তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলের লাইট দেখে আসামিরা মিজানের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়ায় এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই আমিনুর রহমান জানান, প্রবাস ফেরত যুবক মিজানুর রহমানকে হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামিরা কেউ বাড়িতে নাই। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ইএইচ