লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। পুলিশের সামনেই জমজমাট জুয়ার আসর চলা এবং প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় স্থানীয়রা হতাশ। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা আর সমালোচনা। জুয়ার আসরে বখাটেদের আনাগোনায় হয়রানির শিকার হচ্ছে তিস্তা ব্যারেজ দেখতে আসা সাধারণ দর্শনার্থীরা।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের নেতৃত্বে চলছে প্রতিদিন জুয়া। পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ব্যারেজ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বসেছে ডাবু, পিঠে খেলা, তাসসহ বিশাল জুয়ার আসর। এতে করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা তরুণ ও যুবকেরা জুয়ার দিকে আসক্ত হচ্ছে। জুয়ার এই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
তিস্তা ব্যারেজে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রকিবুল হাসান বলেন, জলঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে তিস্তা ব্যারেজে বেড়াতে এসেছি। এখানে প্রকাশ্যেই প্রশাসনের সামনেই চলছে জুয়া। এভাবে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় জুয়া চলতে থাকলে পর্যটকরা আসার আগ্রহ হারাবে।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা মাহমুদ বলেন, প্রকাশ্যে তারা জুয়া খেলার প্রস্তাব দিচ্ছে। বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে খেলতে নিয়ে গিয়ে পরে আমাদের বাড়ি ফেরার টাকা থাকে না। এভাবে অনেকের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অন্তর্গত দোয়নী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুক্তা সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আগেও জুয়া চলেনি এখনো চলছে না। তবে গতকাল ২ জন জুয়ারুকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, জুয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনই খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইএইচ