বছরখানেক ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেপরোয়া। তাই ভালো দাম পাওয়ায় আশায় পাটের পুরো মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কয়েকজন কৃষক। তবে পাটচাষ না করে পেঁয়াজ আবাদ করে পুরোই ধরা খেয়েছেন একাধিক কৃষক। বেশিরভাগ কৃষকের জমির পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়নি। সময় চলে গেলেও এখনো বড় হয়নি পেঁয়াজের (বাল্ব) গুটি। আবার কারো কারো জমিতে পেঁয়াজের গুঁটি নামেনিই। তবে ২-৩ জন কৃষকের পেঁয়াজ ভাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সালথায় অন্তত ১০ একর পাটের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। শীতকালে পেঁয়াজ আবাদের সঠিক সময় হলেও বর্ষা মৌসুমে তা আবাদের দিকে ঝুঁকে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, যেসব চাষিরা পেঁয়াজের বীজ সরাসরি ক্ষেতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছেন, তাদের ক্ষেতের পেঁয়াজ ভাল হচ্ছে। আর যারা বীজতলা থেকে চারা উৎপাদন করে ক্ষেতে রোপণ করেছেন, তাদের পেঁয়াজ ভাল হওয়ার সম্ভবনা নেই।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দোহার গট্টি এলাকার আলিম উদ্দিন নামে এক কৃষক বলেন, পেঁয়াজের দাম ভাল হওয়ায় এবার পাটচাষ না করে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই। সেই অনুযায়ী আমি চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। কিন্তু আমার ক্ষেতের পেঁয়াজ পুরোই মাইর গেছে। এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
মো. ওবায়দুর রহমান নামে আরেক কৃষক বলেন, আমি ১০ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি, কিন্তু ভাল হয়নি। আগামীতে আর এভাবে পেঁয়াজ চাষ করব না।
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, অসময়ে পেঁয়াজ আবাদ করতে হলে অবশ্যই উঁচু জমি ব্যবহার করতে হবে। কারণ বর্ষা মৌসুমে নীচু জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করলে ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে পেঁয়াজের চারা নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি কেউ নীচু জমিতে পেঁয়াজ আবাদ চায়, তাহলে ক্ষেতের মধ্যে বেড কেটে মাটি উঁচু করে আবাদ করতে হবে। তাহলে বৃষ্টি নামলেও ক্ষেতে পানি দাঁড়াবে না। তাতে পেঁয়াজের ক্ষতিও হবে না।
ইএইচ