আমতলীতে সেই বর ও কনের বাড়িতে শোকের মাতম

জিএম মুসা, আমতলী (বরগুনা) প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
আমতলীতে সেই বর ও কনের বাড়িতে শোকের মাতম

ব্রিজ ভেঙে বিয়ের কনের পক্ষের ৯ জন মারা যাওয়ায় বর ডা. সোহাগ ও কনে হুমায়রার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বরের বাড়িতে সুনসান নিরবতা। কনের বাড়িতে কান্নার রোল চলছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলা কাউনিয়া ই্ব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডা. সোহাগের বিয়ে হয়।

গত শুক্রবার ওই কনেকে বরের বাড়ি তুলে নেন। শনিবার মেয়ের পক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে মাইক্রো এবং অটো গাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রিজ পাড় হওয়ার সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে যায়। এতে মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ি নদীতে পড়ে যায়। অটোতে থাকা যাত্রীরা সকলে সাঁতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ওই মাইক্রোতে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী নাসির উদ্দিন। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও শাহনাজ আক্তার রুবি বেগম (৩৫)।

এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ি মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। তারা কনে হুমায়রার মামা বাড়ির আত্মীয়স্বজন।

এমন ঘটনায় বর ডা. সোহাগ ও কনের হুমায়রার বাড়িতে শোকের মাতম বইছে। শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বর ডা. সোহাগের বাড়িতে সুনসান নিরবতা। পাতিল ভরা খাবার রয়েছে। মানুষজন নেই। কনের বাড়িতে বইছে কান্নার মাতম।

বরের বাবা কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিম মাহমুদ বলেন, এমন ঘটনার আমি হতভম্ব। কনে পক্ষের লোকজনের জন্য সকল আয়োজন ছিল কিন্তু একটি ফোনে সকল কিছু ভেস্তে চলে গেল।

কনের বাবা মাসুম বিল্লাহ মনির বলেন, আমার কিছুই বলার নেই। আমি শ্বশুর বাড়ির মানুষকে কী জবাব দেব? আল্লায় কেন আমার উপরে এতো বড় বিপদ দিল?

ইএইচ