মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠদান ও কোচিং সেন্টারে পড়ানোর উছিলায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, ‘ওই শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বিভিন্ন সময় আমাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। হাতে বুলিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখান।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, একজন শিক্ষকের বয়স প্রায় ৩৬। এখানও বিয়ে করেননি। তারপরও কোমলমতি শিশুদের কাছে এ ধরনের আচরণে তারা মর্মাহত। কোমলমতি শিশুরা এর কাছে নিরাপদ নয়। তাহলে সন্তানদের লেখাপড়া করাবো কোথায়? তারা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এলাকার মানুষের ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
মান্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা জানান, বিষয়টি মৌখিক তিনি শুনেছেন। ঈদের ছুটির আগে ডাকযোগে চিঠি পেয়েছেন। আগামী মাসের ৩ তারিখে বিদ্যালয়ে খোলা হবে। তখন বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বসে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ