মৌলভীবাজারের জুড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জুড়ীর গরের গাও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সুমন আহমদের ছেলে ঈদুল হাসান আরমানকে হত্যা ও তার মামা সিএনজি চালক রফিক মিয়াকে নৃশংসভাবে মারধরকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার জুড়ী উপজেলা শ্রমিক পরিবহনের চালকদের উদ্যোগে এম এ মুমিত আসুক চত্বরে এ মানববন্ধন সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন সংহতি প্রকাশ করে দোষীদের বিচারের দাবিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি। জাফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম রেজা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফজাল হোসেন চিকন।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাক ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আব্দুশ শহিদ, বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জব্বার মিয়া,সাধারণ সম্পাদক দুদুল মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, ইউপি সদস্য ফয়জুল ইসলাম কালা,সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের শিশু পার্ক শাখার সাবেক সভাপতি শহিদ মিয়া,বর্তমান সভাপতি আমির আলী প্রমুখ।
এ সময় নিহত আরমান মিয়ার মা রহিমা বেগম বলেন,আমার ছেলে তার নানা বাড়িতে ছিল।বাড়িতে এসে রাতে ঘুমানোর সময় পার্শ্ববর্তী তানভীর আহমদ মুন্না ডেকে নিয়ে যায়। তারপর ঘরের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে।তাকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন আমি সবার শাস্তি চাই।
শনিবার গভীর রাতে ঘরের গাও গ্রামের আরমান মিয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে কুপিয়ে আহত করে একই গ্রামের তানভীর আহমদ ওরফে নায়িকার মুন্না।এ সময় অপর দিকে থেকে সিএনজি চালিয়ে আসা আরমানের খালু রফিক মিয়াকে ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে।এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন অপর জন রফিক মিয়া সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এ ঘটনায় জুড়ী থানায় মামলা হলে প্রধান আসামী সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে জুড়ী থানা পুলিশ ।
আরএস