গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজার খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছিল। এর চারটি পিলার এখন দেবে গেছে।
চরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবি ও রাজস্ব খাত থেকে বেলকা বাজার খেয়াঘাটে কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতনের সেতু নির্মাণে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সেতুর কাজ শেষ দেখিয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ (বর্তমানে কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রধান) ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকারের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরই পদোন্নতিজনিত কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি হয়ে চলে যান।
বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। এক পর্যায়ে চাপের মুখে গত জানুয়ারি মাসে সেতুর কাজ কাজ শুরু করা হয়। গাইবান্ধার রানা এন্টারপ্রাইজের পক্ষে কাজটি করেন সিনথিয়া কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার সাগীর খান। কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন বসানো হলেও এখন পর্যন্ত সেতুর রেলিং দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে বন্যার পানির স্রোতে সেতুর মাঝখানের চারটি খুঁটি দেবে গেছে।
ঠিকাদার সাগীর খান জানান, প্রকল্পটির মূল ঠিকাদার গাইবান্ধার রানা মিয়া। সাব-ঠিকাদার হিসেবে তিনি কাজটি শুরু করেন। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে তিস্তার স্রোতের কারণে মাটি সরে গিয়ে খুঁটি দেবে গেছে। এই মুহূর্তে কিছু করার নেই, পানি কমলে প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নাফ জানান, তিনি সবে যোগদান করেছেন। তার দাবি, যেভাবে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছিল, তা ভুল ছিল। তিস্তার শাখা নদীর ওপর কাঠের সেতু করতে যে ধরনের নকশা করার কথা, তা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সেতুর এমন দশার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ