বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান বাদল জোমাদ্দার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাছ ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মাছ ব্যবসায়ী আ. রহিম হাওলাদার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া মৌজায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলনের মালিকানাধীন ৫১.৫০ শতক জমি কবলা মূলে ক্রয় করি। এরপর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলাম। ওই জমিতে আল আমিন ও পুতুল বেগম ভাড়া থাকতেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ২১ জুন প্রভাবশালী শাজাহান বাদল জোমাদ্দার, জামাল বয়াতি ও জিয়া উদ্দিন একই দাগ থেকে ২৪.৮২ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে তারা আমার জমি দখলের জন্য তারা পাঁয়তারা করে আসছে। তাদের দলিলে যে চৌহর্দি রয়েছে, তা আমার জমির বিপরীতে। অর্থাৎ আমার জমি সাইনবোর্ড বগি সড়কের পশ্চিমপাশে আর চৌহর্দি অনুযায়ী তাদের জমি পূর্বপাশে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাজাহান বাদল জোমাদ্দার, জামাল বয়াতি ও জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর শিকদার, সাগর জোমাদ্দার, সাইফুল ইসলাম শুভসহ ২৫-৩০ জন আমার ওই জমিতে প্রবেশ করে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে ও লুটতরাজ চালায়। ভাড়াটিয়াদের মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেয়। ওই ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং ভাঙচুর করে অন্তত এক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।
দ্বিতীয় দফায় (মঙ্গলবার) সকালে ওই জমিতে থাকা অন্য একটি ঘর ভাঙচুর করে। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘর ভাঙচুর বন্ধ করে দেয়। তারা এখনও আমার জমি দখল করে আছে। আমি যেকোনো মূল্যে আমার জমি ফিরে চাই।
এ বিষয়ে রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান বাদল জোমাদ্দার বলেন, আমি কারও জমি দখল করিনি। আমি ওই জমি ক্রয় করেছি। জমিতে থাকা আগাছা পরিষ্কার করেছি শুধু। যদি তার কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষই জমিটি দাবি করেন। ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। জমিজমার বিষয় দুই পক্ষকে দলিলসহ জমি সংক্রান্ত কাগজ দেখে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে নিতে বলা হয়েছে।
ইএইচ