ময়মনসিংহের নান্দাইল চৌরাস্তা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা থাকায় জনসাধারণ সহ ব্যবসায়ীগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপ ও জমাকৃত ময়লা পানিতে মশা-মাছির বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরদিকে নান্দাইল চৌরাস্তার কিশোরগঞ্জ মোড় দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত থাকার কারণে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তিরও শেষ নেই।
সরজমিন দেখা যায়, বর্ষাকাল এলেই এ চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রী সাধারণকে। তবে নান্দাইল চৌরাস্তার কেন্দুয়া মোড়ে রাস্তার দুপাশে পাকা ড্রেন থাকলেও রাস্তার ও বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করে না দেওয়া বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
এছাড়া তাড়াইল মোড়ে পুরাতন ড্রেন নির্মাণ করা হয়ে থাকলেও তা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ও পলি পরে তা বিলীন হয়ে গেছে। তাই পানি নিষ্কাশনতো দূরের কথা একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ও কর্দমাক্ত অবস্থায় নাজেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে চৌরাস্তার কিশোরগঞ্জ মোড়ের দু’পাশে কোনো ধরনের ড্রেন নির্মাণ না করায় একটু বৃষ্টি হলেই দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থানটুকু পাওয়া যায় না। বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত নোংরা অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কোটি টাকার রাস্তা এখন বৃষ্টির পানির নিচে পড়ে রয়েছে। এতে করে রাস্তার ভিটুমিন নষ্ট হয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া নান্দাইল চৌরাস্তায় কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় দূরপাল্লা যাত্রীসাধারণও প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে।
বারুইগ্রাম চৌরাস্তা বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না ঘটলে পানি জমে সওজের রাস্তার ক্ষতিসহ জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। প্রতিষ্ঠান/দোকান পাটের সামনে ব্যবসায়ীরা যেনতেনভাবে ময়লা আবর্জনা জমা করে রাখায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূইয়া বলেন, বিষয়টি দেখছি, কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, এ মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে বিষয়টি দুঃখজনক। শীঘ্রই বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকার ড্রেনেজ সমস্যার সমাধান করা হবে।
বিআরইউ