ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে বিদ্যুতের মিটার কারসাজির বিষয়টি ধরে ফেলায় সাংবাদিক ও তার পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ওই সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ওই সাংবাদিক ও তার পরিবার নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছেন।
মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই সাংবাদিকের নাম রবিউল হাসান রাজিব। তিনি দৈনিক মুক্ত খবর ও মর্নিং গ্লোরি নামের পত্রিকার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।
রাজিব জানায়, গত ২ জুলাই বাড়ির সামনে ইউপি সদস্য রাহাতুল হাসানের সাথে কথা বলছিলাম। এ সময় অতর্কিতভাবে অভিযুক্ত জামাল মল্লিক, রাজ্জাক মল্লিক, ইমরান মল্লিক, সাহিদ মল্লিক, সাকিব মল্লিক, নাছিমা বেগমসহ আরও ৫-৬ জন লাঠিসোটানিয়ে অতর্কিতভাবে আমার উপর হামলা করে। এ সময় রাজিবের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। রাজীবের ৬ বছরের কন্যা রাফিয়া তাসনিম বাবাকে ধরে কান্নাকাটি করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
ঘটনার সময় ভিডিও করতে গেলে রাজীবের ও তার স্ত্রীর মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে ইউপি সদস্য মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফেরত দেয়। আমার চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন বের হয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেই আমি।
রাজীব জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জামাল মল্লিকের মোবাইল যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাহাতুল হাসান জানান, জামাল মল্লিক আমার কাছে নালিশ দিয়েছিল যে সে বিল দেক বা না দেক, রাজিবের এইটা নিয়ে মাথা ব্যথা কেন, তুমি এইটা দেখ নইলে রাজিবকে মারবো। তখন আমি বলছি, মারামারির দরকার নেই, আমি দেখতেছি। আমি তখন রাজিবকে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে এই ব্যাপারে কথা বলতেছিলাম, ওই সময়েই জামাল মল্লিক, তার ছেলে ও শ্যালকরা মিলে ঘিরে ধরে ঘটনাটা ঘটায়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ
আমার সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
