আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আর এখন সরকার পতনের কথা বলে না। তারা এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতায় বিএনপির নেতারা খুশি হন। তারা এখন তারেক ভীতির শঙ্কায় ভুগছেন। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বসেছিলো। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শহরের পার্বতীপুর সড়কের ড্রিম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোটে হলরুমে বিকেল তিনটায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মী। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মেধা ও শ্রমের কারণে দল পাঁচ পাঁচবার ক্ষমতায়। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আজকে দলের রংপুর বিভাগীয় এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের শক্তি হচ্ছে দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমাদের দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে এটাই প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। রাজনীতি একটি ব্রত। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমাদের রাজনীতি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনবাজি রেখে দেশের যে কোন দুর্যোগ দূর্বিপাকে জনগণের কাছে ছুটে চলেছেন।
ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছি বিধায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি আরও বলেন, আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। আগামীতে ভুটান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুৎ আসবে। আর ঢাকা-কোলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শাহাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।
এছাড়াও ওই বর্ধিত সভায় নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের জাতীয় কমিটির সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার দলীয় মেয়র অংশগ্রহণ করেন।
ইএইচ