নাগরপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন সভায় হট্টগোল

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
নাগরপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন সভায় হট্টগোল

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাগরপুর উপজেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, হট্টগোল ও তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নাগরপুর কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্মেলন সভায় টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টুর উপস্থিতিতে এই তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।

এতে জেলা নেতৃবৃন্দদের এমন লাঞ্ছিতের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সমাজের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সম্মেলন সভায় হট্টগোল সংশ্লিষ্ট ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে দেখা যায়, টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে মাইক নিয়ে কথা বলা অবস্থায় নাগরপুর উপজেলা যুবলীগ দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ভক্ত গোপাল রাজবংশী পিন্টু কমিটি ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তেজনা ও হট্টগোল সৃষ্টি হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ঘটে।

এ সময় স্থানীয়রা নতুন সভাপতি-সম্পাদক দুইজনের নাম ঘোষণার দাবি জানালেও জেলা নেতৃবৃন্দ তা নাকচ করে দেন এবং দুইদিন পর কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, যারা তর্কাতর্কির চেষ্টা করেছেন তারা না বুঝেই এটি করেছেন। আমরা পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ভালো কাজের জন্যেই সেখানে গিয়েছি। তারা না বুঝেই আমাদের সাথে এমন হট্টগোল করেছে। তবে তারা পরবর্তীতে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হওয়ায় আমরা কমিটি ঘোষণা করিনি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু জানায়, স্থানীয়দের দাবি ছিল যেহেতু আগের কমিটির বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই, সেহেতু নতুন কমিটি ঘোষণা করা যেতো। একটি কারণ থাকায় আমরা কমিটি ঘোষণা দেই নাই। অচিরেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

ইএইচ