স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল ছাত্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অনেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে৷ সব সময় আমাদের লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে ছাত্রদেরকে নিয়ে। যারা অতীতে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল তারা সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্র সমাজকে এবং ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিয়েছে৷ আজকের ছাত্ররাই আগামী দিনের উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন৷ আমাদের ছাত্রলীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে।
বলেন, ছাত্রলীগ কখনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত হবে না৷ ছাত্রলীগের নেতাদেরকে অন্যরা অনুসরণ করবে। কেউ কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত হলে ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
রোববার কুমিল্লার জেলার লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এই দুই উপজেলায় আলাদা আলাদা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার৷ তিনি সারাজীবন লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলন করেছেন। গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার একটি স্বপ্ন ছিল আমরা একটি গর্বিত জাতি হবো এবং উন্নত দেশ হবো৷ আমাদের ছাত্রদের অনেক ত্যাগ ও আত্মদানের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ার জন্য যাত্রা আরম্ভ করলেন। বঙ্গবন্ধু ভাবলেন সিঙ্গাপুর যদি এতো উন্নত হতে পারে, ইউরোপ যদি এতো উন্নত হতে পারে, আমেরিকা যদি এতো পরিবর্তন হতে পারে তাহলে বাংলাদেশ পরিবর্তন হতে এতো অসুবিধা কোথায়। স্বাধীনতার পরে তাই বঙ্গবন্ধু যাত্রা আরম্ভ করলেন। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পরে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ আরম্ভ করলেন৷ বর্তমানে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্ব বর্তমানে বাংলাদেশের সুনাম করে একমাত্র শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারণে দেশের উন্নতি হচ্ছে। আজকে আমরা স্বপ্ন দেখি আমরা সিঙ্গাপুরের মতো একটি দেশ হবো৷ আমরা উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালনের চেষ্টা করেছি।
ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাদুল হাসান রাফি।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম।
লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন সানি।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ অটিজম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল কবির দীপু।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইস্রাফিল পিয়াস।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় ও লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান সিদ্দিক হাসিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফসান জামিসহ আরও অনেকে।
পরে বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে নবনির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান৷
এছাড়াও লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সালাহ উদ্দিন সানি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আল আমিন হোসেন রায়হান এবং লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাউছার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদৌস আলম সৌরভ।
ইএইচ