রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় টানা ১৫ ঘণ্টা অনশনের পর প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেয়েছেন এক তরুণী।
রোববার ভোরে তরুণীকে তার পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন অভিযুক্ত তরুণ। এর আগে শনিবার প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন তরুণী।
তরুণীকে বাড়িতে আসতে দেখে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন তরুণের স্বজনেরা। কিন্তু বিয়ের দাবিতে অনড় তরুণী ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে অনশনের ১৫ ঘণ্টা পর তরুণ-তরুণীর বিয়ে দেন স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তরুণ একটি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়েন। তরুণী বলেন, কলেজে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তরুণ তাকে বিয়ের কথা বলেন। বছর দেড়েকের সম্পর্ক তাদের।
এ বিষয়ে তরুণী বলেন, কিছুদিন ধরে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে আসছিলেন তরুণ। সপ্তাহ খানেক তার সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে শনিবার বেলা দুইটার দিকে তিনি ছেলের বাড়িতে যান। কিন্তু ছেলের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। এ কারণে তিনি বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না পেরে দরজার সামনে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। আশপাশের লোকজনও তার পক্ষে ছিলেন।
নববধূ বলেন, ‘ছেলেটিকে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। আমি ওকে ভালোবাসি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
বদরগঞ্জ থানার ওসি আবু হাসান কবীর বলেন, এমন ঘটনা তিনি অবগত আছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আগেই বিয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে।
ইএইচ