টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
নৌপুলিশ টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, রোববার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. জোবায়ের (১৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল হামিদের ছেলে।
ঘটনায় আহতরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মোস্তাকের ছেলে মো. শুক্কুর (২৪)।
নৌপুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সকলেই পুরাতন রোহিঙ্গা। তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বনবিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিল।
হতাহতদের স্বজনসহ স্থানীয়দের বরাতে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, রোববার বিকালে স্থানীয় রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকা সংলগ্ন নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করতে যায়। এক পর্যায়ে তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চর নামক এলাকায় গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকে।
ঘটনায় আহতরা জানিয়েছে, কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা কোন বস্তু বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। পরে তারা আহত অবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছায়।
নৌপুলিশের এ পরিদর্শক বলেন, এক পর্যায়ে কূলে পৌঁছার পর আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে আসলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মো. জোবায়েরকে উদ্ধার বাড়ি নিয়ে পথে সে মারা যায়। আহত দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের সেখানে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া মো. শুক্কুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস।
ইএইচ