টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক্রমেই অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। জেলার ঝিনাই, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি সামান্য কমলেও বেড়েছে ধলেশ্বরী নদীর পানি। নদ-নদীর পানি না বাড়লেও বেড়েছ বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ।
ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলের পানিবন্দি বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তার পাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকেই। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ও বাঁধ ভেঙে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা।
এছাড়াও যমুনা চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে রোববার থেকে উপজেলার বন্যা কবলিত ও নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝ প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে- সোমবার (৮ জুলাই) গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই, ব্রহ্মপুত্র- যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯৭ ও ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইএইচ