পাঁচ শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের জন্য কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে দিলেন এসি আকরাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্থানীয় যুবকরা। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন স্থানীয় ওই যুবকরা।
বন্যা কবলিত এলাকায় যেখানেই মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা সেখানেই এসি আকরাম ফাউন্ডেশনের হাতছানি আছে বলে জানান হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর-এ আলম তুহিন।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের শওকত ডাক্তারের বাড়ির পূর্ব পাশের খালে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বিষয়টি স্থানীয় যুবকদের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক এসি আকরাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাকোঁর কাজ করতে শুরু করেন স্থানীয় যুবকরা। সাকোঁটি তৈরি করতে তাদের সময় লেগেছে এক সপ্তাহ।
স্থানীয়রা জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শত শত ঘরবাডিসহ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। হুগড়া ইউনিয়নে যে সমস্ত জায়গাতে রাস্তাঘাট বেহাল দশা সে সমস্ত রাস্তা ঘাটসহ দুঃস্থ মানুষের পাশে এসে দাডায় এসি আকরাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেখে এলাকার অনেক মানুষ ওইসব যুবকদের পাশে এসে সাকোর সার্বিক সহযোগিতা করেন।
হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নূর-এ আলম তুহিন জানান, স্থানীয় যুবকদের সমাজের ভাল ভাল কাজ দেখে আমি নিজেই উদ্বুদ্ধ হই।
এরপর থেকে তাদের সাথে এসি আকরাম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ইউনিয়নে বেশ কিছু বাজার ঘাটে বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। এর মধ্য বেগুনটাল তালেবের বাড়ি, চাকলাদার পাড়া জিয়া চাকলাদারের বাড়ি, উত্তর হুগড়া ফকির বাজার, মোশারফের বাড়ি ও নরসিংহপুরে নওশের বাড়িতে স্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের মাঝে।
এছাড়াও অসহায় দুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা কাজে সহায়তাসহ রক্ত দানেও ভূমিকা থাকে।
যুব সমাজের প্রথম গ্রুপের সদস্য রিপন মন্ডল জানান, আমাদের গ্রুপে প্রথমে আট দশজন ছিলাম। এখন আমাদের কাজে উৎসাহিত হয়ে আমাদের ইউনিয়নের যুবসমাজ প্রায় ৬০ জন সদস্য রয়েছে।
যাদের মধ্য সবচেয়ে বেশি ভুমিকায় রয়েছে রউফ, হৃদয়, হেল্লাল, ভাসানী ও রফিক।
ইএইচ