ঘোড়াঘাটে ট্রাক-নসিমনের সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
ঘোড়াঘাটে ট্রাক-নসিমনের সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গরুবাহী নসিমনের সাথে আমের ক্যারেট বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ (৬৩) নামে এক গরু ব্যবসায়ী হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নসিমনে থাকা আরো ৬ জন গরু ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ মাছবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রশিদ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বানেশ্বর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাশ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে ৫টি গরু বিক্রি জন্য ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ গোহাটিতে যাচ্ছিলো ১০ জন গরু ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী সহ সহ গরুবাহী নসিমন রানীগঞ্জ বাজারের মাছহাটি এলাকায় পৌঁছালে দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাওয়া আমের খালি ক্যারেট বোঝাই একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ন-২১-৬১৪০) সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদসহ ৭ জন আহত হয়।

পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত ৭ জনকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করে।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন,কসির উদ্দীনের ছেলে তারিফ হোসেন (৪৫), নসিমদ্দীনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৬০), হযরত আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (৬০), আব্দুল হামিদের ছেলে লাভলু মিয়া (৩০), নুরুজ্জামানের ছেলে আবেদ আলী (৫৫) এবং অপর একজন হলেন তাসির উদ্দীন (৬২)। তারা সকলে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা এবং পেশায় তারা সকলে গরু ব্যবসায়ী।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া বলেন, পুলিশ ৭ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসার পর আব্দুর রশিদ মারা যায় এবং লাভলু মিয়া নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহত বাকি ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১ জনকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবব্রত রায় বলেন, ট্রাক এবং নসিমন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাকটির চালক এবং চালক সহকারী (হেলপার) দুর্ঘটনার পরপরেই পালিয়ে গেছে। নিহত ও আহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।

বিআরইউ