নাটোরের গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট সাবগাড়ি এলাকায় আত্রাই নদীতে প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলদারিত্বে সোতিজালের বাঁশের তৈরি ঘের দেওয়ার কারণে নৌচালকদের চলাচলে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে। সোতিজালের ঘের দেওয়ার ফলে নৌচালকরা নৌপথে নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন না, ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে গেছে।
রোববার উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের (আত্রাই নদী) সাবগাড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নদীতে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে সোতিজাল ব্যবহার করে মা মাছ ও পোনামাছ আটকে ফেলে।
এই জালগুলো নৌচালকদের নৌপথে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং নৌচালকদের বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়। এমনকি রাতের আঁধারে নৌকার ছোঁয়া লাগলে প্রভাবশালীরা মাঝিদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিটও করে থাকেন।
এলাকাবাসীরা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। যাতে অবৈধ দখলদারিত্ব অবৈধ স্থাপনাসহ সোতিজাল উচ্ছেদ করে আত্রাই নদীতে মা মাছ ও পোনামাছ রক্ষা পায়, এবং নৌচলাচল পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। জেলেরা যেন পুনরায় স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
সাবগাড়ি এলাকার আত্রাই নদীর দুপাড়ের বাসিন্দারা বলেন, গত বেশ কয়েক বছর হলো আব্দুল মান্নানের নেতৃত্ব তার লোকজন দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নদী দখল করে বাশের তৈরি অবৈধ স্থাপনা দিয়ে সোতিজাল দিয়ে মাছ ধরে মোটা অঙ্কের টাকা কামাই করে। আর এ কারণে সাধারণ জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরতে পারেন না।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং থানা পুলিশের সমন্বিত টিমের মাধ্যমে আত্রাইসহ সকল নদী ও বিলে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে, এবং তা চলমান থাকবে। জনসচেতনতায় উপজেলার নদী ও বিল এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। গত সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করে ৫০টি চায়না জাল জনসম্মুখে পুরানো হয়েছে। আত্রাই নদীতে অবৈধ স্থাপনা দিয়ে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ ধরার চেষ্টা করলেও অবিলম্বেই সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ রক্ষাসহ নির্বিঘ্নে নৌচলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, অতিদ্রুত অভিযানের মাধ্যমে সোতি জালসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনামাছ রক্ষা পাবে।
ইএইচ